সবুজ মিয়ার ৫০ হাজার টাকা পুঁজির ব্যবসা এখন ১০ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। এসএসসি পাসের পর ১৯৯৬ সালে পাদুকা ব্যবসায় যুক্ত হন তিনি। নিজের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আরো ১০ জনের আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন তিনি। ছোট পুঁজির ব্যবসাকে তিনি বড় করে তুলেছেন।
প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অর্থনীতিতেও বিশেষ অবদান রাখছে। পাইকারি পাদুকা বাজার স্থাপন করা হলে সাধারণ কারখানা মালিকরা উপকৃত হবে। মালিকরা দেশব্যাপী ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্ডার সংগ্রহ করে সরবরাহ করে। কম্পিউটার ব্যবহার করে ই-কমার্স, ই-বিজনেস বিষয়ে সচেতন করার মাধ্যমে ক্লাস্টারে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা যেতে পারে।
সরেজমিনে ভৈরব ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষেই পাদুকাশিল্প ক্লাস্টার। উপজেলা পরিষদের আশপাশে পাঁচ-ছয় কিলোমিটার এলাকা ঘিরে গড়ে উঠেছে এই শিল্প। ছোট ঘরের মধ্যে ১০-১২ জনকে নিয়ে একেকটি কারখানা। কোনোটিতে পাঁচ-ছয়জনও রয়েছে। সব মিলিয়ে ৫০ হাজারের বেশি লোকবল কাজ করছে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয়রা জানায়, বর্তমানে ভৈরব পৌর এলাকা ও উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের কমপক্ষে ২০টির বেশি গ্রামে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় ১০ হাজারেরও বেশি জুতা তৈরির কারখানা। ভৈরব পৌর এলাকার কমলপুর, জামালপুর, হাজি ফুল মিয়ার পাদুকা মার্কেট, শম্ভুপুরের সালাম মার্কেটসহ মধ্যেরচর, চণ্ডীবেড়, কমলপুর বাসস্ট্যান্ড, সাদুতলাঘাট, শিমুলকান্দিসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব কারখানা গড়ে উঠেছে। ভৈরবে পাদুকাশিল্পের সাফল্য দেখে কুলিয়ারচর, বাজিতপুর ও বেলাব উপজেলাতেও পাদুকাশিল্প গড়ে উঠতে শুরু করেছে। সরেজমিনে কারখানা ঘুরে দেখা যায়, ফুলমিয়া হাজি মার্কেটে রয়েছে জুতা তৈরির বেশির ভাগ কারখানা। এখানে এক হাজারের বেশি কারখানা রয়েছে বলে জানা যায়। ব্যক্তি জমিতে গড়ে উঠেছে এসব কারখানা। ছোট ছোট ঘরে একেকটি কারখানা, যেখানে ১০-১২ আবার কোথাও পাঁচ-ছয়জন শ্রমিক কাজ করছে।
সমস্যা : ১০ হাজারের বেশি কারখানায় সব পণ্যই হাতে তৈরি। আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকায় হাতেই তৈরি হচ্ছে। দু-একজন বড় ব্যবসায়ী যন্ত্রের মাধ্যমে স্যান্ডেল ও জুতা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছে। স্যান্ডেল ও জুতা তৈরির বর্জ্য ফেলার জায়গা নেই। নেই কমন ফ্যাসিলিটিজ সেন্টার, যেখানে দক্ষ কারিগর থেকে জুতা ও স্যান্ডেল তৈরির মডেল পাবে। অল্প পুঁজিতে হিমশিম খাচ্ছে, ঋণ পাচ্ছে না ব্যবসায়ীরা। কারখানা মালিকদের নিজস্ব শোরুম বা বিক্রয়কেন্দ্র নেই। আড়তদার বা পাইকারের কাছে পণ্য বিক্রি করে। পুরুষ, মহিলা ও বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের স্যান্ডেল, কেডস ও শু-জুতা তৈরি করে ব্যবসায়ীরা। কিন্তু আধুনিক কোনো যন্ত্রপাতি নেই। এই শিল্পের প্রধান কাঁচামাল চামড়া, যা ঢাকা বা আশপাশ থেকে সংগ্রহ করা হয়।
সাত্তার পাটোয়ারী
ক্ষুদ্র উদ্দোক্তা হিসেবে ব্যবসা শুরু করলাম।
রহমান চৌধুরী
আমাদের দোকান সিলেট, আমার ভৈরব থেকে জুতা কিনি।
ফরমান আলী
নতুন ব্যবসা শুরু করলাম
Mohobbat hossen
ব্যবসার জন্য একটি নির্ভর যোগ্য আলোচনা
আব্দুল করিম
এখান থেকে ব্যবসায়িক কার্যক্রম এর ধারণা পেলাম
সাদ্দাম হোসেন
নিজে নিজে ব্যবসা শুরু করেদিলাম। ধন্যবাদ আপনাদেরকে
বাচ্চু মিয়া
১২ বছর যাবত ভৈরব থেকে জুতা এনে ব্যবসা করি
করিম চৌধুরীর
ভৈরবে কম দামে ভালো মানের জুতা পাওয়া যায়।
Jakir Hossain
আপনাদের সব গুলো আর্টিকেল অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং তা ব্যবসায়িদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ধন্যবাদ।
ফজলে করিম
ভৈরবের জুতা সারা দেশে ছড়িয়ে পরুক
আজিত রায়
আমাদের বাজার এর ব্যবসায়ী রা ভৈরব থেকে জুতা আনে। এখান থেকে আরও ডিটেইলস পেলা।