ভৈরব কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত একটি অতিপরিচিত উপজেলা। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত প্রাচীণ ব্যবসাকেন্দ্র। ভৈরব উপজেলার উত্তরে কুলিয়ারচর উপজেলা, পশ্চিমে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলা, দক্ষিণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর উপজেলা এবং পুর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা অবস্থিত।
ভৈরবে ইউনিয়ন ৭টি, ৯টি ওয়ার্ড, ২৪টি মহল্লা, পৌরসভা ১টি, মৌজা ৩২টি, গ্রাম ৮৪টি। ব্রিটিশ আমল থেকে ভৈরব ব্যবসাকেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিত।যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নতির সাথে সাথে ট্রেডিং নির্ভর ব্যবসায়ের একাধিপত্য ইতোমধ্যে খর্ব হয়েছে যথেষ্ট। কারণ এককালে ভৈরবের সাথে নদীপথে কিশোরগঞ্জ উপজেলার ভাটি এলাকার সকল উপজেলা (ইটনা, মিঠামন, অষ্টগ্রাম, বাজিতপুর, কুলিয়ারচর, করিমগঞ্জ তাড়াইল) নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুড়ি, মোহনগঞ্জ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রায় সম্পূর্ণ, বৃহত্তর সিলেটের প্রায় অধিকাংশের সাথে বাণিজ্যিক নির্ভরতা ছিল। শত শত মালামাল বোঝাই নৌকা রাতদিন বিভিন্ন গন্তব্যে যেতো। ব্যবসায়ীগণ সড়ক এবং রেলপথে ঢাকাসহ বিভিন্ন উৎস থেকে মালামাল মজুদ করে এসব অঞ্চলের চাহিদা মিটাতেন। মেঘনা নদীর উপর সেতু নির্মাণ এবং এতদঞ্চলে গ্রামীণ যোগাযোগ অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়নের ফলে নদীকেন্দ্রিক বাণিজ্যিক পরিবহনের নির্ভরতা কমে আসায় এই পরিণতি। চলমান এ অবস্থা কোথায় গিয়ে ঠেকে তা ভাবতে ব্যবসায়িরা শংকিত।
ভৈরবে উৎপাদিত জুতা আকর্ষণীয় ডিজাইন, তুলনামূলক কম দাম এবং গুণগত মানের কারণে সারা দেশে এখন বেশ জনপ্রিয়। ব্যবসায়ীদের কাছেও বাণিজ্যিকভাবে ভৈরবের জুতা ব্যাপকভাবে সমাদৃত। এ শিল্পের ক্রমবর্ধমান প্রসার ঘটায় স্থানীয় বেকারদের কর্মসংস্থানেরও যথেষ্ট সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জুতা শিল্পের স্বতঃস্ফূর্ত বিকাশ ঘটেছে ভৈরবে। জুতা উৎপাদনের ক্ষেত্রে পুরান ঢাকার পরই ভৈরবের অবস্থান হলেও সারা দেশের সাথে রেলপথ, নৌপথ এবং সড়কপথের ত্রিমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সুযোগে দূরাঞ্চলের পাইকার/ব্যবসায়ীরা ঢাকার চাইতে ভৈরবকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।
এখানকার জুতা বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে সৌদি আরব, দুবাই বাহরাইনসহ নানা দেশে রফতানিও হচ্ছে।
আর্থিক আকার : ব্যবসার বর্তমান আকার থেকেই এর একটি আর্থিক আকার নিরুপণ করা যায়। যদিও এ ব্যাপারে এখনো কোনো গবেষণা তথ্য আমার নিকট নেই তবুও এর আকার নিয়ে কিছুটা অনুমান করা যায়। বর্তমানে কারখানা ভেদে ন্যূনতম ২৫ লক্ষ টাকা পুঁজি খাটানোর সামর্থ বিবেচনায় দশ হাজার কারখানার উৎপাদন স্তরে এ ব্যবসাটির আর্থিক আকার ২ শত ৫০ কোটি টাকার কম নয়। হাজার খানেক পাইকারি দোকানের গড়ে ন্যূনতম ১৫ লক্ষ টাকা পুঁজি ধরলে এর আকার দাড়ায় ১শত ৫০ কোটি টাকা। আবার মেটরিয়্যালস ব্যবসায় ৫ শতাধিক দোকানের গড়ে ২০ লক্ষ টাকা করে পুঁজি ধরলে এর আকার দাঁড়ায় ১ শত কোটি টাকা। আছে সোলের মাইক্রোশিট এবং প্যাকেট/বক্স তৈরি কারখানা। সব মিলিয়ে টাকার হিসেবে পাঁচ শত কোটির বেশি তো হবেই। যার বাৎসরিক টার্নওভার ২০০০ কোটি টাকার কম নয়। পুঁজির উৎস : পাদুকা শিল্পের গোড়াপত্তন এবং এ শিল্পকে আগলে রাখায় যাদের ভূমিকা বেশি তারা প্রধানত: নিম্নবিত্ত শ্রেণীর। অর্থকড়ি নয় শুধু কায়িক শ্রমই যেখানে পুঁজির প্রাথমিক উৎস। সততা, মেধা, মনন আর দক্ষতার সমন্বিত প্রয়াসই রচনা করে এ শিল্পের ভীত। সে অর্থে শুধুমাত্র মানব সম্পদই ব্যবসাটির প্রাথমিক পুঁজি বলে বিচেচিত। নানা রকম প্রতিকূলতা, উপেক্ষা এবং অবহেলার মাঝেও মাটি কামড়ে পড়ে থাকাদের সংখ্যাই বেশি এখনো এ শিল্পে। জীবন জীবিকার তাকিদে নিরুপায় লেগে থাকাদের অনকেই অবশ্য কালক্রমে শূন্য থেকে কোটিপতিও হয়েছেন। করেছেন বিষয় সম্পত্তি।
ইউনুস বাবুল
আমি একজন নতুন উদ্দোক্তা।
তাফসির আহমেদ
ভালো আইডিয়া
akter hossen
অনেক সুন্দর উপস্থাপনা।
শরীফ
আমি একজন নতুন জুতার ব্যবসায়ী
ওসামা বিন মামুন
ভৈরবের পাদুকা শিল্প আরও এগিয়ে যাক