পাদুকা শিল্প ঘিরে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গড়ে উঠেছে প্রায় ৮ হাজার ছোট-বড় কারখানা। এসব কারখানায় কর্মসংস্থান হয়েছে অর্ধলক্ষাধিক মানুষের। প্রতিদিন এখান থেকে হাজার হাজার কার্টন পাদুকা রেল, সড়ক ও নৌপথে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দেশের গ-ি পেরিয়ে ভৈরবে তৈরি পাদুকা ইউরোপ-মধ্যপ্রাচ্যেও রফতানি হচ্ছে।
কারখানা মালিকরা জানান, বাজার ভালো হবে এমন আশা নিয়ে জুতা তৈরি করে স্টক করছেন তারা। গুণগত মানসম্পন্ন জুতা তৈরির ফলে বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। পাদুকা তৈরির কারিগররা জানান, সারা বছর কাজ করলেও এ সময়ের অপেক্ষায় থাকেন তারা। পুরো রমজান মাস কাজ করে বাড়তি আয়ের মাধ্যমে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদে আনন্দ করেন। ক্রেতারা জানান, যাতায়াত ও পরিবহন সুবিধা ছাড়াও ভৈরবের জুতা মানে ভালো এবং দামে সুলভ। ফলে তারা এখান থেকে জুতা ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে পাইকারি দরে বিক্রি করেন।
এ বিষয়ে ভৈরব পাদুকা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সবুজ মিয়া বলেন, গেল বছরের তুলনায় এ বছর উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু লোডশেডিংয়ের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া ভৈরবের জুতা দেশের চাহিদা মিটিয়ে ইউরোপ-মধ্যপ্রাচ্যে রফতানি হচ্ছে। সরকার যদি এ শিল্পে সুনজর দেয়, তাহলে পোশাক খাতের মতো এ শিল্পও দেশের অর্থনীতে ভূমিকা রাখবে। জানতে চাইলে ভৈরব পাদুকা সমিতির সভাপতি মোঃ আল আমিন মিয়াবলেন, দেশে কারখানার দিকে থেকে দেশের সর্ববৃহৎ পাদুকা শিল্প এলাকা ভৈরব এবং পাইকারি বাজার হিসেবে রাজধানী ঢাকার পরই আমরা।
সুরুজ আলী
ভৈরবের জুতা আসলেই অনেক ভালো মানের। আমাদের থেকে অনেক বিদেশি গ্রাহকেরা জুতা কিনে বিদেশে নিয়ে যায়।
Sujon Miya
পাইকারি ব্যবসার জন্য ভৈরব ভালো মানের জুতা পাওয়া যায়
রনি তালুকদার
পরিচিত অনেকেই ভৈরব থেকে জুতা এনে ব্যবসা করে।
শফিক রহমান
এখান থেকে অনেক সুন্দর তথ্য পেলাম। ধন্যবাদ
Tofik haqu
তথ্যবহুল আলোচনা